বিদেশি বিনিয়োগকারীরা চীনের পুঁজিবাজার থেকে তাদের বিনিয়োগ প্রত্যাহার করছেন।
বিদেশি বিনিয়োগকারীরা চীনের পুঁজিবাজার থেকে তাদের বিনিয়োগ প্রত্যাহার করছেন।
সম্প্রতি ভারতের পুঁজিবাজার থেকে বিদেশি বিনিয়োগ সরে যাওয়ার খবর শোনা গেলেও এবার চীনের ক্ষেত্রেও একই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর মাসে চীনের পুঁজিবাজার থেকে ৪৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৪ হাজার ৫৭০ কোটি ডলার) বিনিয়োগ প্রত্যাহার করা হয়েছে
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, একই মাসে চীনের পুঁজিবাজারে ১৮৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ১৮ হাজার ৮৯০ কোটি ডলার) বিনিয়োগ এলেও লভ্যাংশ হিসেবে বিনিয়োগকারীরা নিয়ে গেছেন ২৩৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ২৩ হাজার ৪৬০ কোটি ডলার)। চীনের বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ দপ্তর থেকে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
শুধু পুঁজিবাজারেই নয়, চীনের অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রেও বিনিয়োগ কমার এ ধারা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত তিন মাস ধরে পুঁজিবাজার থেকে বিদেশি বিনিয়োগ হ্রাস পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স জানিয়েছে, চীনের বন্ড ও স্টক উভয় বাজার থেকেই বিনিয়োগকারীরা সরে গেছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধির পাশাপাশি বিটকয়েনের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি উন্নয়নশীল দেশগুলোর বাজারে বিদেশি বিনিয়োগ কমার অন্যতম কারণ। চীনের অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি হ্রাসও বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমিয়ে দিচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক (এপ্রিল-জুন) পর্যন্ত বিদেশি বিনিয়োগকারীরা চীন থেকে ১৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ১ হাজার ৪৮০ কোটি ডলার) প্রত্যাহার করেছেন। ১৯৯৮ সালে রেকর্ড রাখা শুরু হওয়ার পর এটি মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো দেখা গেল যে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা চীনে বিনিয়োগের তুলনায় বেশি অর্থ তুলে নিয়েছেন। প্রথম প্রান্তিকেও চীনে ১০ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ১ হাজার কোটি ডলার) বিনিয়োগ এসেছিল, যা এই হ্রাসের ধারাবাহিকতা প্রতিফলিত করছে।