সিরিয়ার বিদ্রোহীরা এবার এমন একটি সম্প্রদায়ের সমর্থন পেয়েছে, যাদের সঙ্গে আগে থেকে তাদের সম্পর্ক সহজ ছিল না। বিশ্লেষকদের মতে, এই সম্প্রদায় দীর্ঘদিন ধরে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিল। তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে তাদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে, যা বিদ্রোহীদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করেছে।
সিরিয়ার বিদ্রোহীরা এবার এমন একটি সম্প্রদায়ের সমর্থন পেয়েছে, যাদের সঙ্গে আগে থেকে তাদের সম্পর্ক সহজ ছিল না। বিশ্লেষকদের মতে, এই সম্প্রদায় দীর্ঘদিন ধরে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিল। তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে তাদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে, যা বিদ্রোহীদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করেছে।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে বিদ্রোহী যোদ্ধারা বিরোধীদের পতাকা হাতে অবস্থান করছে। বিদ্রোহীদের নেতৃত্বে বাশার আল-আসাদের সরকার পতনের পর দেশজুড়ে এক নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে।
সম্প্রতি বিদ্রোহী প্রতিনিধিদল লাতাকিয়া প্রদেশের কারদাহা শহরে গিয়ে আলাওতি সম্প্রদায়ের প্রবীণদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। আলাওতিরা দীর্ঘদিন ধরে বাশার আল-আসাদের অন্যতম সমর্থক হিসেবে পরিচিত ছিল। এই সাক্ষাৎকারকে স্থানীয়রা নতুন সরকারের সহনশীল মনোভাবের প্রতীক হিসেবে দেখছেন।
গত রবিবার সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের অভিযান বাশার আল-আসাদের সরকারের পতন ঘটায়। দুই দশকের শাসন শেষে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। এর আগে তাঁর পিতা, হাফিজ আল-আসাদ, প্রায় তিন দশক দেশ শাসন করেছিলেন। বাশার আল-আসাদ মূলত আলাওতি সম্প্রদায়ের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন এবং তাঁদের সহায়তায় নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেন।
বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলাওতি সম্প্রদায়ের প্রবীণদের এই বৈঠককে সিরিয়ার ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এটি বিশেষ করে সেই ব্যক্তিদের জন্য একটি পরীক্ষা, যারা বাশার সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে আসছিলেন। নতুন শাসনব্যবস্থায় তাদের সঙ্গে কী আচরণ করা হবে, সেটি এখন পর্যবেক্ষণের বিষয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিদ্রোহী প্রতিনিধিদল কারদাহা শহরের টাউন হলে আলাওতি সম্প্রদায়ের ধর্মীয় এবং প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে। এ সময় আলাওতিরা বিদ্রোহীদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে। এতে স্থানীয় পরিষেবা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং পুলিশের কার্যক্রম দ্রুত সক্রিয় করার আহ্বান জানানো হয়।
আলাওতিরা শহরের অস্ত্র জমা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হায়াত তাহরির আল-শাম এবং ফ্রি সিরিয়ান আর্মির নেতারা, যারা বাশার আল-আসাদের পতনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
সিরিয়ার জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ আলাওতি সম্প্রদায়ের মানুষ। তারা মূলত লাতাকিয়া প্রদেশে বসবাস করে। অন্যদিকে, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী সুন্নি মুসলিম, যাদের সংখ্যা প্রায় ৭০ শতাংশ। এ ছাড়া সিরিয়ায় খ্রিষ্টান, কুর্দি, এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে।