রুপার্ট মারডকের বিশাল গণমাধ্যম সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকার নিয়ে সম্প্রতি আদালতে আলোচিত হয়েছে। তবে, উত্তরাধিকার কে হবেন, তা নিয়ে আদালতের মন্তব্য নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আরও বিশদ আলোচনা এবং বিশ্লেষণ চলছে।
রুপার্ট মারডকের বিশাল গণমাধ্যম সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকার নিয়ে সম্প্রতি আদালতে আলোচিত হয়েছে। তবে, উত্তরাধিকার কে হবেন, তা নিয়ে আদালতের মন্তব্য নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আরও বিশদ আলোচনা এবং বিশ্লেষণ চলছে।
রুপার্ট মারডকের বিশাল মিডিয়া সাম্রাজ্যের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নিয়ে চলমান আইনি লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে নেভাদার একটি আদালত। পারিবারিক ট্রাস্টের নিয়ন্ত্রণ তাঁর বড় ছেলে লাচলান মারডকের হাতে তুলে দিতে চেয়ে যে আবেদন করেছিলেন ৯৩ বছর বয়সী এই মিডিয়া টাইকুন, সেটি আদালত খারিজ করে দিয়েছে।
১৯৯৯ সালে গঠিত এই ট্রাস্টের বিষয়ে মারডকের তিন সন্তান—প্রুডেন্স, এলিজাবেথ ও জেমস—আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, পরিবারে সম্পর্ক পুনর্গঠনে এ রায় সহায়ক হবে বলে তাঁরা আশা করছেন।
মারডকের প্রস্তাব অনুযায়ী, মৃত্যুর পর লাচলান যেন কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই ট্রাস্টের পুরো নিয়ন্ত্রণ পান, সেটাই চাওয়া হয়েছিল। তবে আদালত এই প্রস্তাবকে “হেয়ালিপূর্ণ” আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
মারডকের আইনজীবী জানিয়েছেন, তাঁরা আদালতের এই সিদ্ধান্তে হতাশ এবং আপিলের পরিকল্পনা করছেন। এ বিষয়ে রুপার্ট মারডকের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
রুপার্ট মারডক এর আগে পাঁচবার বিয়ে করেছেন এবং ছয় সন্তানের জনক। তাঁদের মধ্যে লাচলান ও জেমস মিডিয়া সাম্রাজ্যের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। তবে তাঁর কনিষ্ঠ দুই সন্তান গ্রেস ও ক্লো ট্রাস্টের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত।
এ রায়ের পর মারডক পরিবারের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এবং মিডিয়া সাম্রাজ্যের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনা আরও গভীরতর হতে পারে।