Advertisement

শিশুর মেরুদণ্ডে ব্যথার সমস্যা বিভিন্ন কারণে দেখা দিতে পারে। এটি অস্বাভাবিক ভঙ্গি, আঘাত বা শারীরিক কোনো অসুবিধার ফলেও হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে বিষয়টি অবহেলা না করে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

শিশুর মেরুদণ্ডে ব্যথার সমস্যা বিভিন্ন কারণে দেখা দিতে পারে। এটি অস্বাভাবিক ভঙ্গি, আঘাত বা শারীরিক কোনো অসুবিধার ফলেও হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে বিষয়টি অবহেলা না করে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন

শিশুদের মেরুদণ্ডে ব্যথা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা বিভিন্ন কারণে দেখা দিতে পারে। এ সমস্যা বয়স, শারীরিক গঠন এবং দৈনন্দিন কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করে। এর কিছু সাধারণ কারণ ও প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।


মেরুদণ্ডে ব্যথার সম্ভাব্য কারণ

1. অতিরিক্ত ভার বহন: ভারী স্কুলব্যাগ বা অন্য ভার বহনের কারণে মেরুদণ্ডে চাপ পড়ে, যা ব্যথার কারণ হতে পারে।

2. ভুল ভঙ্গি: দীর্ঘ সময় সঠিক ভঙ্গি বজায় না রাখা, যেমন হেঁট হয়ে বসা বা দীর্ঘক্ষণ ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার।

3. আঘাতজনিত সমস্যা: খেলাধুলা বা দৈনন্দিন কার্যক্রমে আঘাত পেলে মেরুদণ্ড ব্যথার শিকার হতে পারে।

4. সংক্রমণ বা প্রদাহ: মেরুদণ্ডে সংক্রমণ হলে ব্যথার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

5. শারীরিক বৃদ্ধি: শিশুর দ্রুত শারীরিক বৃদ্ধি পেশি ও হাড়ে সমন্বয়ের অভাব ঘটিয়ে ব্যথার কারণ হতে পারে।

6. জন্মগত ত্রুটি: মেরুদণ্ডের জন্মগত গঠনে কোনো ত্রুটি থাকলেও এ ধরনের সমস্যা হতে পারে।

7. পুষ্টিহীনতা: ভিটামিন ডি বা ক্যালসিয়ামের অভাবে হাড় দুর্বল হয়ে ব্যথা দেখা দিতে পারে।

8. অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বা টিউমার: মেরুদণ্ডে টিউমার বা সিস্ট থাকলে তা ব্যথার কারণ হতে পারে।

প্রতিকার ও পরামর্শ

সমস্যাটি দীর্ঘস্থায়ী হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

প্রয়োজন অনুযায়ী এক্স-রে বা এমআরআই করানো যেতে পারে।

ভারী ব্যাগ বহন করা থেকে বিরত রাখা এবং সঠিক ভঙ্গিতে বসার অভ্যাস করানো।

ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার, যেমন দুধ, ডিম, মাছ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা।


প্রতিদিন সূর্যের আলোতে কিছুক্ষণ সময় কাটানো।

মৃদু ব্যথা হলে ফিজিওথেরাপি বা হালকা ব্যায়াম উপকারী হতে পারে।

গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ বা বিশেষ চিকিৎসা নেওয়া যেতে পারে।

আঘাতজনিত সমস্যার ক্ষেত্রে বিশ্রাম ও প্রয়োজন হলে ঠান্ডা সেঁক দেওয়া।







সতর্কতা




শিশুর মেরুদণ্ডে ব্যথা নিয়মিত বা তীব্র হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ভারী কাজ বা অতিরিক্ত শারীরিক চাপ এড়িয়ে চলা উচিত। পাশাপাশি, সঠিক পুষ্টি ও শারীরিক কার্যক্রম নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

Advertisement

Advertisement

Advertisement

Advertisement